রাজ্যের ভুয়ো B.Ed, D.El.Ed কলেজে ডিগ্রি করে চাকরি, ২ হাজারের বেশি কলেজের হদিশ মিলল ED-র হাতে

Fake B.Ed, D.El.Ed degree jobs in state colleges

Fake B.Ed, D.El.Ed College: বর্তমানে সারা রাজ্য প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে সরগরম। প্রতি মুহূর্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)-র খুঁজে পাওয়া তথ্যে তদন্তের মোড় ঘুরে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে এই দুর্নীতি কান্ডে। এবার নয়া মোড় এল এই মামলায়।

রাজ্য জুড়ে ভুয়ো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজ মিলল। কিছু কলেজগুলির অস্তিত্ব রয়েছে কেবল খাতায়-কলমে কিন্তু বাস্তবে তাদের কোনও অস্তিত্বই নেই! সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, এই কলেজগুলো থেকে বছরের পর বছর ছাত্রছাত্রীরা তাদের ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেছেন! তদন্তে এই রকম দু’হাজারেরও বেশি বেসরকারি ভুয়ো ডিএলএড এবং বিএড কলেজের হদিশ পেয়েছে ইডি।

এই ভুয়ো কলেজগুলো থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি দেখিয়েই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী প্রাইমারির শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে চাকরিও পেয়েছেন। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যে বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কলেজের সংখ্যা আগের চেয়ে প্রায় তিন-চারগুণ বেড়ে যায়।

বাস্তত অস্তিত্বহীন এই কলেজগুলো থেকে বিএড এবং ডিএলএড ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন বহু অযোগ্য প্রার্থী। তবে এখানেই শেষ নয়। এই ভুয়ো কলেজগুলি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রীত্বের সময় দুর্নীতির অন্যতম আখড়া হয়ে উঠেছিল। এখানে টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি কেনাবেচা করা হত। 

ALSO READ :   রাজ্যের জাস্টিস বোর্ডে কর্মী নিয়োগ, গ্রুপ-C পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি | WB Juvenile Justice Board Group C Recruitment

তদন্তে জানা গেছে, এই ভুয়ো কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য এক একজন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা করে নেওয়া হতো। তাঁদের জানানো হতো, কলেজে এসে তাঁদের কোনও ক্লাস করতে হবে না। শিক্ষার্থীদের কেবল ছ’মাস অন্তর ডেকে হাজিরা খাতায় সই করিয়ে নেওয়া হতো। সর্বোপরি, এই কলেজগুলিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষাও নেওয়া হত না এবং পরীক্ষা নেওয়ার কোনও ব্যবস্থাপনাও ছিল না।

ভুয়ো কলেজগুলোর মধ্যে বেশ কিছু কলেজ আবার কোনও একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেটিকে ‘পরীক্ষা হল’ হিসেবে পরীক্ষার্থীদের দেখাত। তারপরে, আগের থেকে তৈরী করে রাখা উত্তরপত্র পর্ষদ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিত কলেজগুলো।

খুঁজে পাওয়া ভুয়ো বিএড কলেজগুলি মূলত দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন। অন্যদিকে, ডিএলএড কলেজগুলি আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে। তদন্তে উঠে আসা এই নয়া মোড় হয়ত শিক্ষক দুর্নীতি মামলার মোড় আবারও অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেবে।

এগুলিও পড়ুন 👇👇

💡 টেটের এই ৭ টি প্রশ্ন নিয়ে আদালতে মামলা

💡 রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরে চাকরির বিজ্ঞপ্তি

💡 বন্ধের মুখে রাজ্যের ৮২০৭ স্কুল? আপনার জেলায় কয়টি-দেখুন

ALSO READ :   রাজ্যে প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অফিস পদে কর্মী নিয়োগ, প্রতিমাসে বেতন ৩২,০০০/- টাকা

Leave a Comment

Your email address will not be published.

Scroll to Top