
1/8: রাজ্যে তৃণমূল সরকারের নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে রোজই নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট তো হয়েছেই, সাথে প্রতিনিয়ত অসৎ ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমতাবস্থায় তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন।
2/8: নেট দুনিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিপিএমের লোকাল কমিটির প্যাডের কাগজে লেখা একটি চাকরির ‘সুপারিশপত্র’ সেটি। এই কাগজে লেখা সুপারিশপত্রকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বাদানুবাদ। এই প্রসঙ্গে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে এই ছবিটি পোস্ট করে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘সিপিএমের চিরকুট। তদন্ত হোক।’
3/8: চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর কমরেড খগেন্দ্রনাথ মাহাতোর উদ্দেশে লেখা এই চিঠিতে লেখা আছে, ‘কমরেড, আমি শ্রী মোহিতলাল হাজরা গ্রাম পালজাগুল পোস্ট জাগুল জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জানি ও চিনি। এবং খুব দুঃস্থ পরিবারের ছেলে। বামপন্থী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। একে আপনার কাছে পাঠালাম। ধেড়ুয়া অঞ্চল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে যে লোক নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে যাহাতে একে নেওয়া যায়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করছি। পরে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করে নেব।’
4/8: প্রেরকের নামের জায়গায় দেখা যাচ্ছে জয়জীম আহাম্মদ বলে এক ব্যক্তির নাম। তবে ভাইরাল হওয়া এই চিঠি নতুন নয়। ২০২২ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম আমলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে একহাত নেন লাল শিবিরকে।
5/8: এখন আবারও নতুন করে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও, আগেই এই চিঠি নিয়ে বামেদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল এই চিঠি পুরোপুরিই ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।
6/8: অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদেশে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বামেদের দুর্নীতির তালিকা তৈরি করছেন। তালিকা মিলিয়ে বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতির পোস্টমর্টেম করা হবে।
7/8: তবে পাল্টা তোপ দেখেছে বাম শিবিরও। রাজ্যের বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন,“আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি প্রকাশ করুন। পুরোটা প্রকাশ করুন। এই তালিকায় প্রকাশ এলে মানুষ বুঝতে পারবে বাম আমলে চাকরির নামে আসলে কতটা স্বচ্ছতা ছিল।”
8/8: সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ীও একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সরকারকে। তিনি বলেন, “১২ বছরে বামেদের দুর্নীতির ফাইল অনেক দেখিয়েছিন। ৪ ডজন কমিশন করেছেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করলেন। কিছু কী বার করতে পেরেছেন? এখন গোটা শিক্ষা দফতরটাই জেলে। কেন শিক্ষা দফতর জেলে সেটার আগে জবাব দিন। তদন্ত করতে চাইলে তদন্ত করুন না। কে আটকেছে। আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে এই চিরকুট কতটা জাল। গোটা পার্টিটাই জাল পার্টি, নিয়োগপত্রও জাল করছে। এখন চিরকুটও জাল করছে। জাল পার্টির থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না।”
জল কোনদিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।
সিপিএমের চিরকুট।
তদন্ত হোক। pic.twitter.com/2d2NGcaf90— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 17, 2023
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।
এগুলিও পড়ুন 👇👇