এবার কি রাজ্যের ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি চলে যাবে? ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ আগেই উঠেছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই নিয়ে মাসখানেক হল মামলা চলছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, স্রেফ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের গাফিলতিতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি। বিষয়টিকে মোটেই হালকাভাবে দেখতে রাজি নয় আদালত।
মূল সমস্যা হল, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার অন্তর্গত অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test) নিয়ে। এক্ষেত্রে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের সরাসরি কোনও অপরাধ বা দোষ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই সঠিকভাবে হয়নি বলে অভিযোগ। আর তা নিয়েই তুলকালাম শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে।
আর তা দেখে মোটামুটি পরিষ্কার, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ জায়গাতেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে অংশে চাকরিপ্রার্থীরা হাতে-কলমে ব্ল্যাকবোর্ডে গিয়ে চক-ডাস্টার নিয়ে পড়ানোর দক্ষতার পরিচয় দেন এবং যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়া যায়, সেই গোটা ব্যাপারটাই বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন জেলায় জেলায় শিক্ষক নিয়োগ ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা।
যদিও অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া হলেও তার নম্বর দেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। বর্তমানে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ইন্টারভিউ বোর্ড টেস্ট না নিয়ে নিজেদের পছন্দমত নম্বর দিয়ে অযোগ্যদের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে!
এখনও পর্যন্ত হিসেব বলছে, এইভাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া এই ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রায় ৪৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা বর্তমানে শিক্ষকতার চাকরি করছেন। এই বিষয়টি আরও ভালো করে খতিয়ে দেখতে সেইসময়ের ইন্টারভিউ বোর্ডের বেশ কিছু সদস্যর পাশাপাশি চাকুরিরত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক শিক্ষককে কলকাতা হাইকোর্টে তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি সরাসরি তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই গোটা কথোপকথন প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এর জন্য আদালতে হাজির হওয়া চাকুরিরত শিক্ষকদের বিশেষ যাতায়াত ভাতা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সবমিলিয়ে ২০১৬ সালে নিযুক্ত রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল।
বি:দ্র: প্রতিদিন নতুন কোনো চাকরি এবং কাজের আপডেট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হয়ে থাকুন।
🔥 গুরুত্বপূর্ণ লিংক: 👇👇👇👇
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇