Agneepath Yojana Recruitment 2022 : সেনাবাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড়সড় পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ‘অগ্নিপথ নিয়োগ যোজনা’ ঘোষণা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের । এই বিষয়ে রাজনাথ সিং বলেন, অগ্নিপথ নিয়োগ যোজনার অধীনে চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে যুবকদের নিয়োগ করা হবে। এর পাশাপাশি চাকরি ছাড়ার সময় তাঁরা সার্ভিস ফান্ড প্যাকেজ পাবেন। এই প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীতে যোগদানকারী যুবকদের ‘অগ্নিবীর’ বলা হবে।
চার বছরের জন্য তরুণদের নিয়োগ দেওয়া হবে সেনাবাহিনীতে। এই সময়ে অগ্নিবীররা আকর্ষণীয় বেতন পাবেন। চার বছর সেনাবাহিনীতে চাকরির পর তরুণদের ভবিষ্যতে আরো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। চার বছর চাকরি করার পর মিলবে সার্ভিস ফান্ড প্যাকেজ।
এই স্কিমের আওতায় নিয়োগ করা বেশিরভাগ সেনা চার বছর পর অবসরের সুযোগ পাবেন। তবে কিছু জওয়ান চাইলে নিজেদের চাকরি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
এখানে ১৭.৫ বছর থেকে ২১ বছরের যুবকরা সুযোগ পাবেন ১০ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত চলবে ট্রেনিং।
মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদেরও থাকছে আবেদন করার সুযোগ। আই টি আই যোগ্যতা থাকতে হবে।
অগ্নিবীরদের প্রথম নিয়োগ ৯০ দিন।
দেশের সেবা করাকালীন যদি কোনো অগ্নিবীরের মৃত্যু ঘটে তবে তার পরিবার ১ কোটিরও বেশি টাকা পাবে। এছাড়া বাকি চাকরির বেতনও দেওয়া হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে – অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে যুবকরা প্রথম বছরের জন্য ৪.৭৬ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজ পাবেন। চতুর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৬.৯২ লক্ষ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য ভাতাও প্রদান করা হবে।
চার বছর চাকরির পর যুবকদের ১১.৭ লক্ষ টাকার একটি পরিষেবা তহবিল দেওয়া হবে। এর ওপর কোনো করও আরোপ করা হবে না।
দেশ সেবার মনোভাব আছে এমন যুবকরা সুযোগ পাবেন। সেনাবাহিনীতেও স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি চাকরি থাকছে। সেনাবাহিনীর ৩ বিভাগেই তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়বে। ৩ বাহিনীর প্রধানরা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কাছে এই প্রকল্পের একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন।
এই স্কিমের আওতায় অল্প সময়ের জন্য যুবকরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। ৪ বছর পর বেশিরভাগ জওয়ানকে চাকরি থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তারপর তাদের উন্নত চাকরি দিতেও সক্রিয় ভূমিকা থাকবে সেনাবাহিনীর।
কেউ যদি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন তাহলে তার প্রোফাইল মজবুত হবে এবং প্রতিটি সংস্থাই তখন এই ধরনের যুবক নিতে আগ্রহ দেখাবে।
এছাড়া ২৫ শতাংশ দক্ষ ও যোগ্য জওয়ান সেনাবাহিনীতে থাকতে পারবেন। তবে এটি তখনই সম্ভব যদি সেই সময় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ হয়।
এই স্কিমের জেরে সেনাবাহিনীরও কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। একদিকে যেমন কম মানুষকে পেনশন দিতে হবে অন্যদিকে বেতনও সঞ্চয় হবে।